স্বদেশ রিপোর্ট: নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে বক্তারা সম্মেলনের দাবি জানিয়ে বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার নিজেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি করে দিয়ে যাবেন। কমিটির জন্যে কাউকে টাকা দেবেন না। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দাবি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র যুক্তরাষ্ট্র আগমন উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যায় এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে থেকে ড. সিদ্দিকুর রহমানের নের্তৃত্বাধীন ৮ বছরের কমিটির অবসান ঘটিয়ে দলকে গতিশীল ও নিয়মনীতির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের সমন্বয়ে একটি নতুন কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাতিসংঘ সফর ঘিরে আওয়ামী পরিবারের এ সমাবেশে ‘বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার আগমণ-শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘যেখানে বিএনপি-জামায়াত-সেখানেই প্রতিরোধ’ সহ বিভিন্ন শ্লোগানের পাশাপাশি ‘নো মোর সিদ্দিক’ শ্লোগানটি উচ্চারিত হয় বার বার। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলমের পরিচালনায় এ কর্মী সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর এ সমাবেশে নীতি-নির্ধারণী বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাকসুর সাবেক ভিপি ড. প্রদীপ রঞ্জন কর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাজী সফিকুল আলম, এম এ জলিল, তোফায়েল চৌধুরী ও হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন দত্ত, শিক্ষা সম্পাদক এমএ করিম জাহাঙ্গির, নির্বাহী সদস্য হিন্দাল কাদির বাপ্পা, শরিফ কামরুল হীরা, ইলিয়ার রহমান, আশরাফ মাসুক, সিরাজুল ইসলাম, লিটু গাজী, সাবু মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল ও সাধারণ সম্পাদক কায়কোবাদ খান, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি একেএম আলমগীর, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হুসেন, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ওয়াজি উল্লাহ, এম এ আওয়াল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন, শ্রমিক লীগ নেতা মঞ্জুর চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি মো. আবদুল মুহিত, জহিরুল ইসলাম, নাদের আলী মাস্টার, মো. মাঈনুদ্দিন, হেলাল মাহমুদ, মোল্লা মাসুদ, বিএম জাকির হোসেন, রোমানা আক্তার, ফরিদা আরভি, শারমিন আক্তার, আফরোজা, আক্কাস আলী, খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, মো. আলিম উদ্বিদন, যুবলীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন, সেবুল মিয়া, ইফজাল চোধুরী, রাহিমুজ্জামান সুমন, রিন্টু লাল দাস, নাফিকুর রহমান তুরান, রেজা আব্দুল্লাহ স্বপন, নুরুল ইসলাম মিলন, জামাল আহমেদ, মনির উদ্দিন, শোহেব আহমেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, মকবুল হোসেন তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন, আতাউর রহমান তালুকদার, ওমর ফারুক, গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, রকিব হোসেন প্রমুখ। মূল বক্তব্যে ড. প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নের্তৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি হচ্ছেন একমাত্র নারী, যিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করে চতুর্থ টার্মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি জাতিসংঘে আসছেন অভিজ্ঞ বিশ্বনেতা এবং মানবতার মা হিসেবে। তার এই মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী পরিবারের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্কে অবস্থান কালীন সকলকে দিন-রাত সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সমাবেশে আইরিন পারভিন তার বক্তব্যে দল ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। চন্দন দত্ত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে আজ শুকুনের উৎপাত, হায়নার কবলে। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান দল ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নেত্রী, দল ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ড. সিদ্দিককে নেত্রী থেকে দূরে রাখার আহবান জানান তিনি। ফরিদ আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবার আসছেন ষোড়শ বারের মত। জাতিসংঘের ইতিহাসে এ এক অনন্য নজির। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন বিএনপি-জামায়াতের যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাতিসংঘ সফর ঘিরে বিএনপি-জামায়াত নানা হুমকি ও হুঙ্কার দিচ্ছে। ওদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। নিজেদের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মিসবাহ আহমেদ সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দলের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
নিউজার্সি, কানেকটিকাট, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেট্স সহ বিভিন্ন স্টেট থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযুদ্ধা যুব কমান্ড, শেখ হাসিনা মঞ্চ সহ মুক্তিযুদ্ধের শক্তির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। নেতা-কর্মীরা বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণমূলক শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত রাখেন পুরো হল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলে করে জয় বাংলার স্লোগানে জ্যাকসন হাইটস এলাকা প্রকম্পিত করে কর্মী সভায় যোগদান করেন। সম্মেলনের শুরুতে ইমাম কাজী কায়্যূমের পরিচালনায় দোয়া-মাহফিলে শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ্যায়ু কামনা করা হয়। সকলে এক মিনিট দাঁড়িয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসার কথা। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক কর্মসূচির সমর্থনে আওয়ামী পরিবার ইতোমধ্যে জনসংযোগ, সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। বিশেষ করে জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় হাজারো নেতা-কর্মী-সমর্থকের সমাগম ঘটিয়ে দলীয় নেত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবে আওয়ামী লীগ। জাতিসংঘে ভাষণের সময় বাইরে বড় ধরনের শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির পাশাপাশি ২৮ সেপ্টেম্বর মিডটাউন ম্যানহাটানে শেখ হাসিনার নাগরিক সংবর্ধনাকে ব্যাপকভাবে সাফল্যমন্ডিত করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করা হয় সমাবেশ থেকে। সমাবেশ লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বর্তমান ক্রান্তিকাল চলছে। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বৈরাচারী কায়দায় অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দ্বিধা বিভক্তির মাধ্যমে অচল অবস্থাসহ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, জননেত্রী শেখ হাসিনার আদেশ-নির্দেশকে উপেক্ষা করে নিয়ম বহির্ভুতভাবে অর্থ পকেটস্থ ও দলীয় কর্মীদের বহিস্কার-তিরস্কার সহ বিভিন্ন পদে পদায়ন করেন। বিভিন্ন সভায় অশালীন কুরুচিপূর্ন বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে কর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ড. সিদ্দিকুর রহমানের ৮ বছরের সাংগাঠনিক মেয়াদে কিছু অপকর্মের নমুনা এখানে তুলে ধরছি। নেত্রীর দেওয়া কমিটিকে তিনি তিনবার ব্লাক মেইল করে ’৭৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে পরিবর্তন করে নিজের পছন্দমত, দলীয় কর্মী নয়, এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়িয়ে ’১০৭ এবং পরে ’১৭৩ এ এনেছেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান সিংহভাগ সময় দেশে থেকে সংগঠনকে ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে আসছেন।
নিজেকে নেত্রীর সমতুল্য ঘোষনা করে জননেত্রীর ৪০বছর সভাপতির উদাহরন টেনে, তিনি তার পদে ৪বছর থাকার যুক্তি তুলে ধরার মতো দু:সাহস দেখান। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম ব্যবহার করে ম্যাক্স আলমগীর সহ বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ‘কোটি কোটি ডলার’ চাঁদার অর্থ নিজে আত্মসাত করেছেন। নেত্রীর অনুমতি ছাড়া এবং নেত্রীর স্বাক্ষরিত কমিটিকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে ৬৭ জনকে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পদে পদায়ন করেন। ২০১৭ সালে ভার্জিনিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে জননেত্রী শেখ হাসিনা ড. সিদ্দিকুর রহমানকে কার্যকরী কমিটির সভা ডেকে প্রতি তিন মাস অন্তর অর্থের হিসাব প্রদানসহ সাংগাঠনিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনার নির্দেশ দিলেও তিনি তা অবমাননা করেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান দীর্ঘ ৮বছরে মাত্র তিনটি কার্যকরী কমিটির সভা ডাকলেও তা অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করতে বাধ্য হন। ২০১৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি মারফত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেও তিনি নেত্রীর নির্দেশকে অমান্য করেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রাননাশ পরিকল্পনাকারী ”মাস্টার মাইন্ড” জ্যাকব মিলটনের অন্যতম সহযোগী অর্থদাতা ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নিয়োগ করেন।
তিনি ভাসানী ন্যাপের জনসভায় অতিথির বক্তব্যে ”ভারতের বিরুদ্ধে এখনি রুখে দাঁড়ানোর সময়” বক্তব্য দিয়ে সরকারের কুটনৈতিক সম্পর্কে আঘাত করেন। জাসদের জনসভায় জাসদ নেতাদের বুদ্ধিমান এবং প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাদের গর্ধব আখ্যায়িত করে তিনি বক্তব্য রাখেন।
আগষ্টে জাতীয় শোকের মাসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শোক সভায় ড. সিদ্দিকুর রহমান পতিœ সাহানারা রহমান হাস্য উজ্জ্বল মুখে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জাতীয় শোক দিবসের অবমাননা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে সংবর্ধনা কমিটিতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সভাপতি স¤্রাট গংসহ জামাত ও রাজাকারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করেন।
ড. সিদ্দিকুর রহমান নিজে ৮ বছরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মুজিব কোট কখানো পরিধান করেননি এবং ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও অংশ গ্রহন করেননি। সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উল্লেখিত গর্হিত এসব কাজের জন্য আমরা সকলেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ থেকে স্বৈরাচার ড. সিদ্দিকুর রহমানের অবসান চাই। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন ত্যাগী নিবেদিত, নি:স্বার্থ কর্মী বান্ধব একজন নেতাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব অর্পনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনিত অনুরোধ জানাই।